ঢাকা, শুক্রবার   ০১ আগস্ট ২০২৫

৩৪ কোটি টাকা পাচার, বেক্সিমকোর সহযোগী প্রতিষ্ঠানের এমডি গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:০০, ৩১ জুলাই ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

অভ্যন্তরীণ বাণিজ্যের আড়ালে প্রায় ৩৪ কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগে বেক্সিমকো গ্রুপের কর্পোরেট গ্যারান্টেড সহযোগী প্রতিষ্ঠান অটাম লুপ এপারেলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও শেয়ারহোল্ডার ওয়াসিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ঢাকার মধ্যবাড্ডা ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, জনতা ব্যাংকের লোকাল অফিস শাখা (১, দিলকুশা, মতিঝিল, ঢাকা) থেকে প্রতিষ্ঠানটি তিনটি এলসি বা সেলস কন্ট্রাক্ট গ্রহণ করে। এর ভিত্তিতে ২০২০ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে প্রতিষ্ঠানটি রপ্তানির নামে কার্যক্রম চালায়।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, রপ্তানির চার মাসের মধ্যে রপ্তানিমূল্য দেশে ফেরত আনার বাধ্যবাধকতা থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি তা না এনে দেশের অর্থনীতিকে মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে।

এতে আরও বলা হয়, ওয়াসিউর রহমান ও তার সহযোগীরা পরিকল্পিতভাবে রপ্তানিমূল্য ফেরত না এনে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫)-এর ধারা ২(ক)(২) অনুযায়ী প্রায় ৩৪ কোটি টাকা পাচার করেছেন।

এ ঘটনার প্রেক্ষিতে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ (সংশোধনী ২০১৫) এর ৪(২)/৪ ধারায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়। বর্তমানে যা সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিটে তদন্ত করছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্রেপ্তারকৃত ওয়াসিউর রহমানকে আদালতে সোপর্দ করে তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে। একইসঙ্গে, তিনি ও তার সহযোগীদের বিদেশে কোনো অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না, সে বিষয়ে অনুসন্ধান কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। 

এছাড়া, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো গ্রুপ) প্রতিষ্ঠাতা ও ভাইস চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের ভূমিকা নিয়েও তদন্ত চলছে। অভিযোগ রয়েছে, তিনি আত্নীয় স্বজনদের নামে একাধিক প্রতিষ্ঠান খুলে বিদেশে অর্থ পাচারের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন।

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি